লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (এলইডিপি) অধীনে রংপুর অঞ্চল থেকে এক লক্ষ ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চিন্তা থেকে সরকারের দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং দেশের তরুন তরুণীদের আউটসোর্সিং বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের আওতায় লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে (এলইডিপি) সারাদেশে কাজ চলছে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাট জেলা নিয়ে গঠিত লট-০২ এ প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী বিনামূল্যে ২০০ ঘন্টার ট্রেনিং পেয়েছে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে হাইপারট্যাগ সল্যুশনস লিমিটেড।

এই ৪ জেলার শিক্ষার্থীরা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের উপর ফাউন্ডেশন এবং স্পেশালাইজেশন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সাফল্যের সাথে কাজ করছে। আপওয়ার্ক ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইভার ডট কম, এসইওক্লার্ক ডট কম সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে এক লক্ষ ডলারেরও বেশি ইনকাম করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রশিক্ষণার্থীরা। এছাড়াও এই প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই আউটসোর্সিং প্রকল্পভিত্তিক কাজ করছেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, হাইপারট্যাগ সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ শফিউল আলম লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটির অবিস্মরণীয় সাফল্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রকল্প পরিচালক আক্তার মামুনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির শুরু থেকেই আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ প্রদান- এ প্রকল্পের সাফল্য অনেক অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি এ প্রকল্পটির গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে সেজন্য কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। জুনাইদ আহমেদ পলকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি যেমন নতুন একটি রূপ পেয়েছে তেমনি তার সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে এ প্রকল্পটি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে জোরালো ভূমিকা পালন করছে’।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ‘এই প্রশিক্ষণার্থীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নিজের পরিবারের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, এই প্রশিক্ষণার্থীরা ভবিষ্যতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে’।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ৬৪ টি জেলা ও ৪৯২ টি উপজেলায় লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।